ছোটাছুটি মারপিট দুর্ঘটনা কান্না রক্তাক্ত সবই আসল!

 

আর মাত্র ১০ ঘণ্টা। এরপরই সূর্য উঠবে আর খুন হয়ে যাবে আদরের মেয়ে। এর আগেই তাকে খুঁজে বের করতে হবে। কোনো ক্লু নেই। পুলিশকে জানানো যাবে না। আত্মীয়-স্বজনকেও ফোন করা যাবে না। নিজের জন্মদিন ভুলে হতভাগ্য বাবা একজনকে তাড়া করে চলেছেন। হঠাৎ গাড়ির ধাক্কা! রক্তাক্ত বাবাটা অসহায়ের মতো কান্না করছেন।

টিভির একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রখ্যাত এক নায়ক ও পরিচালককে প্রশ্ন করা হয়, সিনেমায় পরিচালক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি নায়ক? এ নিয়ে দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্বিতণ্ডা হয় এবং একজন আরেকজনের ক্যারিয়ারকে অপমান করতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরিচালক নায়কের মুখের ওপর পানি ছুড়ে মারেন। এরপর রাগের বশে পরিচালক অপহরণ করে বসেন নায়কের মেয়েকে।

ব্যস! শুরু হয়ে যায় আসল খেলা। বাবা ছুটছেন মেয়েকে উদ্ধারের জন্য আর পেছনে ক্যামেরা হাতে পরিচালকের সহকারী ছুটছেন পুরো বিষয়টি ক্যামেরাবন্দির জন্য। বলিউডে এ ধরনের স্ক্রিপ্ট নিয়ে কেউ কোনোদিন সিনেমা করেছেন কি না আমার জানা নেই। নেই রিহার্সেল, নেই মেকাপ, নেই কোনো সেটাপ। যা ঘটবে সবই আসল। ছোটাছুটি, মারপিট, দুর্ঘটনা, কান্না, রক্তাক্ত... সব!

এই সিনেমায় বাবা অনিল কাপুর। কন্যা সোনম। আর নিষ্ঠুর কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। অনিল কাপুরের ভূমিকায় অনিল নিজেই আর অনুরাগের ভূমিকায় অনুরাগই। ছবির বাকিরাও নিজের নিজের চরিত্রে। কল্পনা আর বাস্তব নিয়ে পরিকল্পিত খেলা খেলেছেন পরিচালক বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে।

সিনেমাটিতে অনিল কাপুর ও অনুরাগ কাশ্যপের একের পর এক টুইস্ট একবারের জন্যও আসন ছেড়ে ওঠার সময় দেয় না। এত সহজে অনন্য একটি সিনেমা তৈরি হতে পারে, তা ‘একে ভার্সেস একে’ না দেখলে বোঝার উপায় নেই।

(দেশ রূপান্তর । ২৪ জুন ২০২৪)

মন্তব্যসমূহ